বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভুল’ স্বীকার করলেন সেই ইউএনও

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ মে, ২০২১ ০২:১০

নছিমনচালককে তিন দিন আটকে রাখার ঘটনায় কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিজ কার্যালয়ে তিন দিন নছিমনচালককে আটকে রাখার ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। বিষয়টি নিয়ে তিনি অনুতপ্ত বলে জানান। এদিকে ঘটনার জন্য ইউএনও রুহুল আমিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার।

ইউএনও রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অনুতপ্ত। এটা ভুল ছিল। আমি আসলে কাজটি না বুঝে করেছি। সমস্যা তৈরি করেছে আমার অফিসের স্টাফরা। নছিমনচালক ধারদেনা করে ২০ হাজার টাকা এনেছিলেন ক্ষতিপূরণের জন্য। কিন্তু আমি মানবিক কারণে সে টাকাও রাখিনি। এ ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আমাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নছিমনচালক আরিফকে বৃহস্পতিবার ছেড়ে দিয়েছি। কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ অথবা মুচলেকা নেয়া হয়নি। আবার তার অভিভাবক আসার জন্য অপেক্ষাও করা হয়নি। অফিস স্টাফদের কারণে আমাকে চাপে পড়তে হয়েছে। আমি তো অমানবিক কোনো কাজ করিনি। তাকে মারধর করা হয়নি। তাকে তো আমি কারাদণ্ড দিইনি। তার বাবা-মা আসার অপেক্ষায় শুধু আটকে রেখেছিলাম। অভিভাবক আসলে তাদের হাতে তুলে দিতাম।’

এদিকে নছিমনচালক আরিফ বলেন, ‘ইউএনও অফিসের লোকজন একটি ভিডিও ধারণ করে। অফিসে শুধু আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল, মারধর করা হয়নি এবং নিয়মিত খাবার দেয়া হয়েছে বলে তারা স্বীকারোক্তি নেয়। আমাকে ইউএনও মারধর করেননি, এ কথা সত্য। কিন্তু আটকে রাখায় তিন দিন আমার খুব কষ্ট হয়েছে।’

আরিফের বাবা ইউসুফ বলেন, ‘আরিফ বাংলাবাজার এলাকায় মাছের ব্যবসা করে। কিন্তু করোনায় ব্যবসা খারাপ হওয়ায় ভাড়ায় নছিমন চালাচ্ছিল। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরদিন ইউএনও অফিসে গিয়েছিলাম। তখন গাড়িচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন ইউএনও।’

গত সোমবার ভোলা সদর উপজেলা থেকে চরফ্যাশনে যাচ্ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। বাংলাবাজার এলাকায় ইউএনওর গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি নছিমনের। দুর্ঘটনার পর নছিমনচালক আরিফকে আটক করে নেয়া হয় চরফ্যাশন উপজেলায়। প্রথমে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হলেও ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য পরে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে একটি কক্ষে আরিফকে আটকে রাখা হয়। আরিফকে তিন দিন আটকে রাখার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

এ বিভাগের আরো খবর