শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে স্মরণ করেছে এলাকাবাসী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্নস্থানে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল মিলাদ, দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ এবং স্মরণ সভা।
শুক্রবার দিনভর গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মনি সরকার, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মঞ্জুর, টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া, সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহামনসহ অনেকে।
আগের রাতে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করেন বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল । তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
১৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ একটি স্মরণিকা ও বিশেষ নিবন্ধ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
২০০৪ সালের ৭ মে একটি জনসভায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে তিনি দুই দফায় পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।