নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেরা ভিজিএফ চাল বিতরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের রেনু মিয়ার বাজারে এই বিক্ষোভ করে জেলেরা। তারা সবাই মৎস্য অধিদপ্তরের কার্ডধারী জেলে। তাদের অভিযোগ, কার্ড থাকা সত্বেও তাদের চাল না দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যরা জেলে নয়, এমন ব্যক্তিদের চাল দিয়েছেন।
ওই ইউনিয়নে মৎস্য অধিদপ্তরের কার্ডধারী জেলে ৯৩৯ জন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে জাটকা আহরণে বিরত থাকা ১৫৫ জন জেলের দুই মাসে ৮০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ আসে। এপ্রিল-মে মাসে আসে ১৭৫ জনের নামে। কিন্তু সিংহভাগ জেলের জন্যই আসেনি কোনো সহায়তা।
ওই ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী জেলে সাহাব উদ্দিন মাঝি, আলাউদ্দিন, মো. মোবারক হোসেন, বেলাল উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল, মাঈন উদ্দিন, আবুল কাশেম, দুলাল মাঝি, নিজাম উদ্দিন, লুৎফুর রহমান, মোশারফ হোসেন, ৯নং ওয়ার্ডের নিজাম উদ্দিন, জসিম মাঝি, ৪নং ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিন, আলা উদ্দিন, শাহজাহান, আবদুর রহিম ও নিজাম মাঝিসহ আরও অনেকে এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
তারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাশার মঞ্জু ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে চালগুলো বিতরণ করেন। ইউপি সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের অনুসারীদের ২০-২৫ কেজি করে চাল দিয়ে প্রকৃত জেলেদের বঞ্চিত করেছেন।
জেলেদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তাদের কার্ড ইস্যু হওয়ার পর কেউ একবার অথবা দুইবার চাল পেয়েছেন। আবার কেউ একবারও পাননি।
তবে পূর্ব চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাশার মঞ্জু বলেন, জেলে রয়েছে ৯৩৯ জন। কিন্তু বরাদ্দ এসেছে অর্ধেকেরও কম। তাদেরকে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। এতে কোনো রকম অনিয়মের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘তাদের একটু ক্ষোভ থাকতেই পারে। সরকার কার্ড অনুসারে চাল বরাদ্দ দিলে জেলেদের এমন ক্ষোভ থাকবে না।’
সুবর্ণচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে জেলেদের মাঝে চালগুলো বিতরণ করা হয়েছে। এতে অনিয়মের সুযোগ নেই। চালবঞ্চিত প্রকৃত জেলেরা পরবর্তী ধাপে সুযোগ পাবেন।’
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম ইবনুল হাসান ইভেন বলেন, ‘জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’