বরিশালে খাল উদ্ধার ও পরিষ্কারে মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ না পেয়ে নিজস্ব উদ্যোগেই কাজ শুরু করেছিল সিটি করপোরেশন। কাজ পরিদর্শনে গিয়ে প্রায়শ নিজেই খাল পরিষ্কার করছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার সকালেও কালুশাহ সড়ক এলাকার সাগরদি খাল ভেকু মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করেন তিনি।
গত সপ্তাহে নগরীর চৌমাথা এলাকা থেকে খাল পরিষ্কারের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র। এরপর পরিদর্শনে গিয়ে তিন-চারদিন নিজেই খাল পরিষ্কারের কাজ করেন।
সিটি করপোরেশন বলছে প্রথমে দুটি খাল পরিষ্কারের টার্গেট নেয়া হলেও পর্যায়ক্রমে সব খাল পরিষ্কার ও দখলমুক্ত করা হবে। মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প জমা দেয়া হলেও তাতে সাড়া না পাওয়ায় নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খাল উদ্ধারের উদ্যোগ নেন মেয়র।
কালুশাহ সড়ক এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, ‘মেয়র খাল পরিষ্কারের কাজ তদারকির পাশাপাশি পরিচ্ছন্নকর্মীদের সহায়তা করেন। ভেকু মেশিন দিয়ে দীর্ঘ সময় খালের আবর্জনা পরিষ্কার করেন। যা দেখতে আশপাশের মানুষও ভিড় জমায়।’
বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, বর্তমানে চৌমাথা থেকে কালুশাহ সড়ক সংলগ্ন সাগরদী খাল এবং চাঁদমারী খাল পরিষ্কারের কাজ চলছে। এরপর জেল খাল এবং লাকুটিয়া খাল উদ্ধারের কাজ শুরু হবে। মেয়র প্রতিদিনই কাজ পরিদর্শন করছেন।
তিনি আরও জানান, ৭০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী আর চারটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ চলছে। শনিবার থেকে খালের পার থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা শুরু হবে। এক মাসব্যাপী কাজ চলার কথা বলা হলেও এই কাজ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘খাল রক্ষার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা রয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে খালগুলো পরিষ্কার না থাকলে জলাবদ্ধতায় সমস্যার মধ্যে পড়বে নগরবাসী। সেই কথা চিন্তা করে নগরীর খালগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খালগুলোতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে জলাবদ্ধতার শঙ্কা থাকবে না।’