করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে অক্সিজেনের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দিনে প্রায় ৮০ টন অক্সিজেন লাগে। অন্য সময় যা লাগত ৬০ টন। যখন সংক্রমণের হার বেড়েছিল তখন আমাদের ২০০ টনের বেশি লেগেছিল। আমাদের দেশে এখন প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অক্সিজেন প্রায় ১৭৫ টন ও গ্যাসের মাধ্যমে আরও প্রায় ৪০ টন।’
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঈদ উপলক্ষে ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০ টনের ওপরে আমাদের অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। প্রায় ৯০০ টন আমাদের স্টোরে আছে। আগামী মাসে আরও ৪০ টন আমাদের অ্যাড হয়ে যাবে। আশা করি আমাদের অক্সিজেনের অভাব হবে না।’
‘আমরা লকডাউন দিয়েছি, যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ করেছি, আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। আবার কিছু সময়ের জন্য দোকানপাট-রেস্টুরেন্টও বন্ধ রেখেছি।
‘যার ফলে সংক্রমণ ২৪ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মৃত্যু ১১২ ছিল এখন সেটা ৫০ এ নেমে এসেছে। কিন্তু আমরা যদি বেখেয়ালী হয়ে যাই, যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানি তবে বাড়তে সময় লাগবে না।’
লকডাউন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা শুধু ঈদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারঘাট খোলা রেখেছি। এটাও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বাজার-ঘাট বন্ধ করে দেয়া হবে।’
ভারতের উদাহরণ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ভারতের অবস্থা দেখেন। ওদের অবস্থা দেখলে শিউরে উঠি। যেভাবে সৎকার হচ্ছে দেখলে ভয় লাগে।
‘মানুষ ওখানে একটু অক্সিজেন পাওয়ার জন্য দাপাদাপি করছে কিন্তু অক্সিজেন পাচ্ছে না।’
এ সময় জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম ও পৌর মেয়র রমজান আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বক্তব্য শেষে জেলার সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার ২ হাজার মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বিতরণ করেন।