বোনের বাসায় স্নানঘরের জন্য সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ শেষ হয়েছে আগেই। শুক্রবার সকালে সেই ট্যাংকের নিচে নেমে বাঁশ-কাঠের সাটারিং খুলতে গিয়েছিলেন নির্মাণশ্রমিক সাদেক বাচ্চু। তার পরপরই নামেন সহযোগী মানিক হোসেন। সেখানেই প্রাণ হারান দুজন।
কুষ্টিয়া শহরতলির জুগিয়া পালপাড়ায় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের মরদেহ।
তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামে।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাদেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সহকর্মীদের নিয়ে ১০-১২ দিন আগে বোনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক ঢালাই দিয়ে যান তিনি। সেটির সাটারিং খুলতে শুক্রবার ট্যাংকে নামেন তিনি। এর পর কোনো সাড়া না পাওয়ায় তার সহযোগী মানিকও ট্যাংকে নামেন।
তাদের দুজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে সাদেকের বোনজামাই আমিরুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় দুজনকে। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে মডেল থানার ওসি শওকত কবির ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে বাড়ির লোকজন সেপটিক ট্যাংকটি ঢেকে বন্ধ করে রেখেছিলেন। দীর্ঘ সময় বন্ধ পড়ে থাকায় সেখানে গ্যাস জমে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের কারণে আর অক্সিজেন স্বল্পতা থাকায় ট্যাংকের ভেতর ওই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে বিস্তারিত জানা যাবে।