নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ফাতেমা আক্তার মুন্নি নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে ।
মুন্নির মা খায়েরুন নেছা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্নির স্বামী মো. জিহাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এর আগে বুধবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে নিজ কক্ষের খাটে মুন্নিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বেগমগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর ছয়ানী ইউনিয়নের ৩ম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নয়নপুর গ্রামের ওদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুন্নি নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসুদনপুর গ্রামের ফরিদ হাজী বাড়ির আহছান উল্যার মেয়ে।
মুন্নির পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মুন্নি ও জিহাদ প্রেম করে তিন মাস ২৭ দিন আগে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে জিহাদ তাকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে দেয়ার জন্য শ্বশুরের কাছে অর্থ দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু মুন্নি জানিয়ে দেন যে তার গরিব বাবার পক্ষে অটোরিকশা কিনে দেয়া সম্ভব নয়। একে কেন্দ্র করে জিহাদ তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
এজাহারে বলা হয়, বুধবার রাতে জিহাদ তার স্ত্রীকে অটোরিকশা কেনার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার কথা বললে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাতের কোনো এক সময়ে জিহাদ মুন্নিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। গভীর রাতে মুন্নির শাশুড়ি জোসনা বেগম সেহরি খেতে ডাকতে গেলে খাটের ওপর পুত্রবধূর মরহে দেখতে পান । এরপর তিনি ভোর রাতে মুন্নির মা-বাবাকে তার মৃত্যুর খবর দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ঘটনাস্থল থেকে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিকে শুক্রবার বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
মুন্নির মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।