করোনা মহামারির এই সময়ে ভালো নেই ফরিদপুরের বীরাঙ্গনারা। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী।
জেলার মধুখালীতে দুই জন ও ভাঙ্গা উপজেলায় একজন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। করোনা মহামারির এই সময়ে তাদের অসুবিধার কথা জানতে পেরে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। ওই দুই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বীরাঙ্গনাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী।
জানা যায়, অভাব অনটনের সংসারে বড় কষ্টে দিন যাপন করছেন ভাঙ্গা উপজেলার বীরাঙ্গনা দেবী আরতি রানী ঘোষ। ছোট ছেলে কৃষ্ণ ঘোষের চায়ের দোকানের আয় ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়ে কোনোমতে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। বসবাস করছেন জীর্ণশীর্ণ একটি ঘরে। জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে খবর আসে দেবী আরতি রানী ঘোষ কষ্টে আছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।
খবর পাওয়া মাত্রই অতুল সরকার ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিনকে আরতি রানী ঘোষের বাড়িতে পাঠান।
বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ও ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব আহমেদসহ কর্মকর্তারা আরতি রানী ঘোষের গ্রামের বাড়ি চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রামে যান। এ সময় তার হাতে উপহার ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ইউএনও।
এদিকে মধুখালীর বীরাঙ্গনা আম্বিয়া বেগম ও মোসাম্মৎ ফুলজান বেগমের দুরাবস্থার কথা জানতে পারেন অতুল সরকার। তাদেরকেও সহায়তা দেন তিনি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা মনোয়ার তাদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
তাদের প্রত্যেকের হাতে এক বস্তা চাল, পাঁচ কেজি আলু, তেল, চিনি, সেমাই, মসুর ডাল, পেয়াজ, লবণ, মাল্টা, তরমুজ, কলা, বাঙ্গী ও একটি করে শাড়ি তুলে দেয়া হয়।