গাজীপুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আছিম উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে এই মামলার মূল আসামি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মন্তাজ উদ্দিন মণ্ডলকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
পুলিশের দাবি, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার ফোন সচল আছে, তার সঙ্গে কথাও হয়েছে নিউজবাংলার প্রতিবেদকের।
তিনি দাবি করেছেন, মামলার অভিযোগ মিথ্যা।
একই মামলার বাকি আসামি ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহসহ ২৩ জনের কাউকেই এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর রায় নিউজবাংলাকে মামলা ও একজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার বাদী কেইসি কারখানার ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, কাউন্সিলরের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা দুই বছর ধরে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও কাউন্সিলর ও তার লোকজন নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল।
কয়েক দিন আগে তারা ঈদ উপলক্ষে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে না চাইলে একপর্যায়ে কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকরা গত সোম ও মঙ্গলবার ঢাকা ইপিজেড সড়ক অবরোধ করে।
এরপর বুধবার বিকেলে ইমতিয়াজ আহম্মেদ ২৫ জনের নামে কাশিমপুর থানায় মামলাটি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মন্তাজ উদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা করা হয়েছে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব এ খোদা বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলাটি চলবে। কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করতে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।