নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে ঐতিহাসিক ৫ মে, গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
মিল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বুধবার দুপুরে শহীদ সাগর চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৫ মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের তৎকালীন প্রশাসক আনোয়ারুল আজিমসহ ৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারিকে গুলি করে হত্যা করে। পরে তাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেন।
সেই স্মৃতি রক্ষার্থে পুকুরটির নামকরণ করা হয় শহীদ সাগর। শহিদ আনোয়ারুল আজিম স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
তিনি আরও বলেন, ‘আনোয়ারুল আজিম শহিদ হিসেব রাষ্টীয় স্বীকৃতি পেলেও বাকি ৪১ জন এখনও শহিদের মর্যাদা পাননি। তাই বাকি শহিদদের রাষ্টীয় স্বীকৃতি দানের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের প্রতি দাবি জানান।’
এ সময় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের জিএম (প্রশাসন) ফরিদ হোসেন ভূইঁয়া, জিএম (কারখানা) আনোয়ারুল ইসলাম, জিএম (কৃষি) মনজুরুল হক, জিএম (খামার) আনিসুরজাম্মান, সিবিএ সভাপতি গোলাম কাউসার, সাধারণ সম্পাদক ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন পিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান, ধর্ম ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাজাহান আলী, শহিদ পরিবারের সদস্য ফরহাদুজ্জামান রুবেল, মাজহারুল ইসলাম লিটন, কামরুল ইসলাম, শাহীন আহমেদসসহ অনেকে ছিলেন।