করোনা পরিস্থিতিতে খুলনায় কর্মহীন শিল্পী, কলাকুশলী ও কবি-সাহিত্যিকদের সরকারি অনুদানের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু সহায়তার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন বঞ্চিত শিল্পীরা। তারা বলছেন, তালিকায় কৃষক, এনজিওকর্মী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ অনেকের নাম দেয়া হয়েছে, যারা শিল্পী নন।
খুলনা প্রেস ক্লাবে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়। স্বচ্ছ তালিকা করে নতুন করে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান বেশ কয়েকজন শিল্পী। তারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বাইরের লোকদের সরিয়ে শিল্পকলা একাডেমির নির্বাচনেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন খুলনা সাংস্কৃতিক আন্দোলন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মোকলেসুর রহমান বাবলু।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এ জন্য খুলনায় যে ২৯৯ জন শিল্পীর তালিকা করা হয়েছে তা অস্বচ্ছ। তালিকায় যাদের নাম রাখা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই অনুদান পাওয়ার যোগ্য নন। ২৯৯ জনের মধ্যে ১১৯ জনই শুধু বটিয়াঘাটা উপজেলার।’
তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তালিকায় চারজন ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি ব্যবহার করা হয়েছে একটি। চায়ের দোকানদারও রয়েছেন অনুদান পাওয়ার তালিকায়। এছাড়া শিল্পী তালিকায় রয়েছেন কৃষক, এনজিওকর্মী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও গৃহিণী। অথচ প্রকৃত শিল্পীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’
দ্রুত বিতর্কিত তালিকা বাদ দিয়ে নতুন তালিকার মাধ্যমে অর্থ প্রদানের দাবি জানান শিল্পীরা।