ময়ময়সিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সাবেক স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করেছেন আসমা খাতুন নামের এক নারী।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের বিধবা ভাতাভোগীদের চূড়ান্ত তালিকায় নামও এসেছে ৩৬ বছর বয়সী আসমার।
কিন্তু আসমার ‘বাড়া ভাতে ছাই’ ঢেলে দেন তার সাবেক স্বামী হারুন আকন্দ। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন হারুন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া গ্রামের হারুন অর রশীদ আকন্দের সঙ্গে ২০০৫ সালে একই গ্রামের আসমা খাতুনের বিয়ে হয়।
পরে সম্পর্কের টানাপোড়েনে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার বেতন্দর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়। সেই সংসারে আসমার একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ২০২০-২১ অর্থবছরের বিধবা ভাতাভোগীদের চূড়ান্ত তালিকায় (ক্রমিক নং ৭৩) আসমা খাতুনের নাম রয়েছে।
পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তারের দাবি, আসমা খাতুনকে পৌরসভা থেকে কোনো স্বামীর মৃত্যুর সনদ দেয়া হয়নি। বিধবা ভাতার জন্য আসমা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম আকন্দ বলেন, পৌর মেয়রের স্বাক্ষরিত তালিকা মোতাবেক তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে।
বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর হারুন অর রশিদের অভিযোগের পরই তালিকা থেকে আসমার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমাকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘জীবিতকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি (আসমা খাতুন) কীভাবে স্বামীর মৃত্যুর সনদ পেয়েছেন সেটি খতিয়ে দেখব। তদন্ত করে ভাতা বাতিলসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আসমা খাতুন বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে সাবেক স্বামীর নাম রয়েছে। তাই ওই নাম ব্যবহার করেছি।’
জীবিতকে মৃত বানিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়ে গেছে।’