নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিখোঁজের ১১ দিন পর পুকুরের পাশ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. সুজন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার জালকুড়ি তালতলা এলাকা থেকে বুধবার সকালে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশুর নাম মো. রিয়াদ। তার বয়স সাত বছর। সে তালতলা এলাকার রাজু আহমেদের ছেলে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদী সিদ্দিক নিউজবাংলাকে জানান, রাজু ও সুজন দুইজনই রাজমিস্ত্রির কাজ করে। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। সেই সূত্রে তাদের মধ্যেকার সখ্য পারিবারিক পর্যায়ে গড়ায়। সিদ্ধিরগঞ্জের তালতলা এলাকায় পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়া থাকেন তারা।
বাড়ির সামনে থেকে গত ২৪ এপ্রিল নিখোঁজ হয় রিয়াদ। তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজে না পেয়ে তিন দিন পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর গত ৩ মে একটি নম্বর থেকে ফোন করে রিয়াদকে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।
সেই ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সুজন নামের ওই যুবককে মঙ্গলবার রাতে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সুজন জানান, ২৪ এপ্রিল সোনামিয়া মার্কেটে মেলা দেখানোর কথা বলে রিয়াদকে বেড়াতে নিয়ে যান। পরে তাকে তালতলা এলাকায় একটি নির্জন জায়গায় গলা টিপে হত্যা করে পাশের পুকুরের পাড়ে মরদেহ ঢেকে রাখে।
এরপর শিশুটির বাবার সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রিয়াদের খোঁজে মাইকিংও করেন তিনি। পরে পরিস্থিতি বুঝে শিশুটির বাবার কাছে ফোন করে মুক্তিপণ চান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় সুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।