নওগাঁয় মামাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ওই কিশোর মঙ্গলবার শিশু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম। এরপরেই তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সোহেল রানা।
নিহত অরুণ সাহানার বাড়ি সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের নামাহাতাশ গ্রামে। গ্রেপ্তার কিশোর তার আপন ভাগনে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি নজরুল ইসলাম জানান, অরুণ সাহানা কৃষিকাজ ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত শনিবার (১ মে) তিনি রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে কিছু দূরে ভরি নামে এক ব্যক্তির খলানে ধান পাহারা দেয়ার জন্য যান।
পরদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার স্ত্রী রেবতী সেখানে গিয়ে অরুণের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে বাবলু কুমার পুলক ওই দিনই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অরুণের ভাগনেকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কোদাল আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ওই কিশোর জানায়, মামা অরুণ তাকে প্রায় শাসন করতেন। ধান মাড়াইয়ের কাজে গেলে তাতেও বাধা দিতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খলানে ঘুমন্ত অবস্থায় মামাকে কোদাল দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সে।