বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কবরস্থান দখল করে গরুর খামার!

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ মে, ২০২১ ২২:৪০

অভিযুক্ত নজরুল শিকদার ও সামসু শিকদার কবরস্থানের জায়গা দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, খামারের জায়গা কম হওয়ায় আমরা কবরস্থানের কিছুটা জমি নিয়েছি।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চানপট্টি গ্রামে একটি পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা দখল করে গরুর খামার করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ভুক্তভোগীরা কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উল্টো তাদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।

জানা যায়, প্রায় এক শ বছর আগে ওই গ্রামের তোফাজ্জেল শিকদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে বসতবাড়ির পাশেই একটি জায়গা কবরস্থানের জন্য নির্ধারণ করেন। কালের পরিক্রমায় বহু মৃতদেহ এখানে দাফন করা হয়েছে।

সম্প্রতি একই গ্রামের নজরুল শিকদার, সামসু শিকদারসহ আরও কয়েকজন কবরস্থানের কিছুটা জায়গা দখল করে গোয়ালঘর নির্মাণ করেন। এর কয়েকদিন পরই পুরো কবরস্থানের জায়গার ওপর গরুর খামার করে ফেলেন তারা।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই গবাদি পশুর মলমূত্র পুরো কবরস্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ও মৃতদের স্বজনরা প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও জানানো হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কবরস্থানের জায়গা থেকে গরুর খামার সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেন।

কিন্তু প্রভাবশালীরা কারও কথাতেই কর্ণপাত করেননি। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রবাসী হাবিজুল শিকদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।

হাবিজুল শিকদার বলেন, হঠাৎ করেই নজরুল শিকদার ও সামসু শিকদারসহ কয়েকজন কবরস্থানের জায়গা দখল করে গরুর খামার স্থাপন করেন। নির্মাণকাজ শুরু করলে আমরা বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কারো কথাই শোনেননি। এ কারণে উপায়ন্তর না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের কাছে গিয়েছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামসু শিকদার, নজরুল শিকদারসহ আরও কয়েকজন কবরস্থানের জায়গাটি দখল করে গরুর খামার করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ মোল্লা বলেন, কবরস্থান দখল করে গরুর খামার করেছে। তারা প্রভাবশালী তাই ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনি।

ইউপি সদস্য আ. রশিদ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জায়গাটি পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে রয়েছে। অসংখ্য মানুষের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।

তিনি বলেন, ‘কবরস্থান থেকে গরুর খামার সরিয়ে নেয়া উচিত। সামসু শিকদার ও নজরুল শিকদার নিষেধ অমান্য করে গায়ের জোরে খামার করেছেন।

অভিযুক্ত নজরুল শিকদার ও সামসু শিকদার কবরস্থানের জায়গা দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, খামারের জায়গা কম হওয়ায় আমরা কবরস্থানের কিছুটা জমি নিয়েছি।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি স্পর্শকাতর, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর