মাদারীপুরের শিবচরে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পরিবার হারানো খুলনার শিশু মিমের দায়িত্ব নিয়েছেন তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম।
তেরখাদার পারোখালী গ্রামে মঙ্গলবার সকালে মিমের মা-বাবা ও দুইবোনের দাফনে অংশ নিতে এসে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শহীদুল বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে মিমের জন্য ১ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মিমের বিয়ের আগপর্যন্ত তার ভরণপোষণ দেব বলে এলাকাবাসীর কাছে ওয়াদা দিয়েছি।’
পারোখালী গ্রামে দুই দিন আগে প্রয়াত দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে মিমের বাবা মনির শিকদার, মা হেনা বেগম ও ছোট দুই বোন সুমি-রুমিকে।
এ সময় সেখানে চেয়ারম্যান শহীদুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামানসহ স্থানীয় লোকজন।
মনিরের ছোট ভাই কামরুল শিকদার জানান, তার ভাই রাজধানীর মিরপুর মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। থাকতেন মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায়। রোববার সন্ধ্যায় তাদের মা মারা যান। মাকে দাফন করতে সোমবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখান থেকে গ্রামে আসছিলেন মনির।
মিমের মা-বাবা-বোনের জানাজায় এলাকাবাসী, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের সদস্যরাবাংলাবাজার-শিমুলিয়ার কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় সোমবার সকালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া স্পিডবোটটিতে ছিলেন মনির ও তার পরিবার। পরে জীবিত উদ্ধার করা হয় মিমকে। উদ্ধার করা ২৬ মরদেহের মধ্যে থেকে মা-বাবা ও দুই বোনকে শনাক্ত করে মিমই।
মরদেহ নিয়ে মিম গ্রামের বাড়ি পৌঁছায় সোমবার সন্ধ্যায়। সেই থেকে বাড়িসহ পুরো এলাকায় চলে শোক।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা মিমের নানির কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।