বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গরু রাখতে প্রতিদিন ব্যয় ৪৪৩ টাকা!

  •    
  • ৩ মে, ২০২১ ২১:৩৮

দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ৩৩টি ভারতীয় গরু আটক করেছিল। আদালতের অনুমতি নিয়ে ২৭ এপ্রিল নিলামে ২৫ লাখ টাকায় গরুগুলো বিক্রি করা হয়। আদালতের সিদ্ধান্ত পেতে বিলম্ব হওয়ায় ৪৯ দিন গরু রাখা হয়েছিল দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে। সেখান থেকে গরুর খরচ বাবদ বিল করা হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা।

সীমান্তে আটক ভারতীয় গরু সিদ্ধান্তের অভাবে নিলাম করা যায়নি ৪৯ দিন। আর এ সময়ে ৩২টি গরুর দেখভাল করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে প্রতিটি গরু রাখতে প্রতিদিন ব্যয় হয়েছে ৪৪৩ টাকা। গরু রাখার এ ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয় এখন মানুষের মুখে মুখে। ঘটনাটি লালমনিরহাট পাটগ্রামের।

স্থানীয় লোকজন জানান, দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র গত ১১ মার্চ ভারতীয় ৩৩টি গরু আটক করে। গরুগুলোর নিলাম নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত পেতে কালক্ষেপণ হওয়ায় তা লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয় দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদকে। সেখানে একটি গরু মারা যায়। সবশেষে ৪৯ দিন পর আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশ্য নিলামে ২৫ লাখ টাকায় গরুগুলো বিক্রি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্ম্মণের নেতৃত্বে নিলাম কমিটি।

গরুগুলো ৪৯ দিন লালন-পালনের জন্য দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় দেখিয়ে বিল ভাউচার তৈরি করে। তা নিলাম কমিটি অনুমোদন দেয়। বিল ভাউচার অনুসারে, প্রতিটি গরু প্রতিদিন ২২২ টাকার খাবার খেয়েছে। আর তাদের রক্ষণাবেক্ষণে অন্যান্য ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিটি গরুর জন্য প্রতিদিন ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪৪৩ টাকা। গরুর জন্য এ ব্যয় অস্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন খামারিসহ গরু ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শ্রমিক সব মিলে প্রতিদিন একটি গরুর জন্য ২০০ টাকা ব্যয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিগুণের বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা চলছে দহগ্রামসহ আশপাশের এলাকায়।

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু গরুর খাদ্য সরবরাহ করেছি। ৪৯ দিনে ৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকার খাদ্য দিতে হয়েছে। অন্য ব্যয়ের সাথে আমি জড়িত নই।’

পাটগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিলাম কমিটির সভাপতি রামকৃষ্ণ বর্ম্মণ বলেন, ‘গরুগুলো ২৫ লাখ টাকায় প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি হয়েছে। এ সময় গরুগুলোর লালনপালন বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এসব ব্যয় অতিরিক্ত ধরা হয়েছে কি না তা আমি বলতে পারব না। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।’

পাটগ্রাম উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিটি গরুর জন্য প্রতিদিন ৪৪৩ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এটা অতিরিক্ত নয়। সকল নিময় মেনেই ব্যয় হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর