কুষ্টিয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর নামে মামলা দিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এক পরিবহনশ্রমিক।
মামলা তুলে নেয়ার জন্য পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও পাল্টা অস্ত্র মামলা দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানান ওই শ্রমিক ও তার স্ত্রী। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর রেজাউল বলেছেন, এসব কিছুই তিনি জানেন না।
শহরতলির জগতি কৃষকপাড়ার দেলোয়ার হোসেন ভোলার স্ত্রী মালেকা বিশ্বাস গত ২৯ এপ্রিল কুষ্টিয়া মডেল থানায় কাউন্সিলর রেজাউলের বিরুদ্ধে হামলার মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, দেলোয়ার রূপসা পরিবহনে কাজ করেন। লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকায় তিনি কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড়ে কিছু প্রাইভেট কার ও অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহনে সহায়তা করেন। সেখান থেকে পাওয়া সামান্য অর্থে চলছিল তাদের সংসার।
কুষ্টিয়া পৌরসভা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় দেলোয়ারকে অফিসে ডেকে নিয়ে দিনপ্রতি এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তা দিতে রাজি না হওয়ায় পরদিন দুপুরে চৌড়হাস মোড়ে দেলোয়ারের ওপর হামলা চালায় কাউন্সিলরের লোকজন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন দেলোয়ার।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর বাবু সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার লোক মীর জাকির হোসেনসহ চার থেকে পাঁচজন মিলে হাঁসুয়া, রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আমাকে আঘাত করে।’
মামলার বাদী দেলোয়ারের স্ত্রী মালেকা বিশ্বাস বলেন, ‘আসামিরা ক্ষমতাসীন হওয়ায় মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ দিচ্ছে। ২ মে অপরিচিত এক যুবক বাড়িতে এসে বলে গেছে, মামলা তুলে না নিলে তাদের ফাঁসানো হবে।
‘আসামিরা মিটিং করেছে। তারা পুলিশকে দিয়ে দেলোয়ারকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠিয়ে দেবে।’
দেলোয়ার হোসেন ভোলা বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন ইতিমধ্যে হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করা ৩ নম্বর আসামি আরিফুল ইসলাম ও ৭ নম্বর আসামি বিল্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে, গ্রেপ্তার দুজনই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে গেছেন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের কথাই হয় না। তার বাড়ি আমার বাড়ি থেকে এক মাইল দূরে। কীভাবে হামলা হলো।’
মামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কিছুই তার জানা নেই।