বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউন এড়াতে চরে যাত্রী নামাতে যাচ্ছিল স্পিডবোটটি

  •    
  • ৩ মে, ২০২১ ১৩:২৩

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা বেগম জানিয়েছেন, লকডাউন অমান্য করে নামায় ঘাটের নজরদারি এড়াতে চেয়েছিলেন স্পিডবোট চালক। তাই কাঁঠালবাড়ি ঘাটে না নেমে কাছের অন্য কোনো স্থানে যাত্রী নামাতে চেয়েছিলেন তিনি। সে সময় নিয়ন্ত্রণ হারালে স্পিডবোটটি দাঁড়িয়ে থাকা বাল্কহেডে গিয়ে ধাক্কা দেয়। অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় এটি উল্টে যায় পদ্মায়।

লকডাউনের নির্দেশনা না মেনে নদীতে নেমে দুর্ঘটনায় পড়া স্পিডবোটের যাত্রীদের গায়ে ছিল না কোনো লাইফ জ্যাকেট। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন দক্ষিণবঙ্গগামী। নজরদারি এড়াতে ভোরের আলো ফোঁটার আগেই শিমুলিয়া ঘাটের কিছু দূরে চর থেকে যাত্রী তুলে রওনা হন এর চালক।

এ তথ্য জানিয়েছেন মাওয়া নৌ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবির।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা বেগমও জানিয়েছেন, লকডাউন অমান্য করে নামায় ঘাটের নজরদারি এড়াতে চেয়েছিলেন স্পিডবোট চালক। তাই কাঁঠালবাড়ি ঘাটে না নেমে কাছের অন্য কোনো স্থানে যাত্রী নামাতে চেয়েছিলেন তিনি। সে সময় নিয়ন্ত্রণ হারালে স্পিডবোটটি দাঁড়িয়ে থাকা বাল্কহেডে গিয়ে ধাক্কা দেয়। অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় এটি উল্টে যায় পদ্মায়।

ডিসি রহিমা আরও জানান, আহত যে পাঁচজন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে আছেন স্পিডবোটচালক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, স্পিডবোট তল্লাশি করে এর মালিক ও অন্যান্য তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডিসি জানান, দুর্ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। আরও কেউ নিখোঁজ আছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি নৌ পুলিশ।

মরদেহগুলো পাশের দোতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পরিচয় শনাক্তের পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল হান্নান।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, স্পিডবোটটি যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বাল্কেহেডের পেছনে এর ধাক্কা লাগে।

কাঁঠালবাড়ী নৌ পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। কতজন বোটে ছিল তা জানা যায়নি।

‘সাধারণত স্পিডবোটে ২০ জনের মতো যাত্রী ওঠে। এই স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। নদীতে আরও কেউ নিখোঁজ আছে কি না তা জানতে উদ্ধারকাজ চলছে।’

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি নৌপথগুলোতে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারপরও যাত্রী নিয়ে নদীতে নামে ওই স্পিডবোট।

বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে মাওয়া নৌ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবির দাবি করেন, লকডাউনের শুরু থেকে অসাধু একটি চক্র ঘাট এলাকা সংলগ্ন চর থেকে অবৈধভাবে যাত্রী তুলে চলাচল করছিল। সকালে ওই স্পিডবোটটি এমনই একটি চর থেকে ছেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে শিমুলিয়া ঘাটের একাধিক কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর