মাদারীপুরের শিবচরে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী বাল্কহেডকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেছে একটি স্পিডবোট, যাতে নিহত হয়েছে ২৬ জন। এর মধ্যে আছে তিন শিশুও।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাদারীপুর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তারা জানান, লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে স্পিডবোটচালক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে আসছিল। তবে মাওয়া নৌ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবিরের দাবি, ঘাট থেকে নয়, কাছের চর থেকে যাত্রী তুলে যাচ্ছিল এটি।
শিবচর থানার পুলিশ ও নৌ পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
শিবচর থানার ওসি মিরাজ বলেন, স্পিডবোটটি যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বাল্কেহেডের পেছনে এর ধাক্কা লাগে।
ধারণা করা হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় স্পিডবোটটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় নদীতে।
কাঁঠালবাড়ী নৌ পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। পাঁচজনকে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। কতজন বোটে ছিল তা জানা যায়নি।
‘সাধারণত স্পিডবোটে ২০ জনের মতো যাত্রী ওঠে। এই স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। নদীতে আরও কেউ নিখোঁজ আছে কি না তা জানতে উদ্ধারকাজ চলছে।’
দুর্ঘটনার পর জীবিত উদ্ধার করা হয় পাঁচজনকেহতাহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি নৌপথগুলোতে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারপরও যাত্রী নিয়ে নদীতে নামে ওই স্পিডবোট।
বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে মাওয়া নৌ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবির দাবি করেন, স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি। লকডাউনের শুরু থেকে অসাধু একটি চক্র ঘাট এলাকা সংলগ্ন চর থেকে অবৈধভাবে যাত্রী তুলে চলাচল করছিল। সকালে ওই স্পিডবোটটি এমনই একটি চর থেকে ছেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে শিমুলিয়া ঘাটের একাধিক কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।