খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৯ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা। ঠিকাদার পরিবর্তন হওয়ায় তাদের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটেছে। নতুন ঠিকাদার নতুন লোক নিয়োগ দিচ্ছেন। পুরোনোরা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন।
করোনার সময়ে নিজেদের ভোগান্তি ও চাকরি ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়ে রোববার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাকরিতে ফিরতে চাই। তাকবীর এন্ট্রারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা ২১১ জন কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাই। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২০ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত আমাদের বেতন দেয়া হয়। এরপর বেতন বন্ধ হয়ে যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চাকরি ফিরে পেতে নতুন ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছিলেন সম্প্রতি বদলি হওয়া খুলনার সিভিল সার্জন। কিন্তু নতুন ঠিকাদার নতুন নিয়োগের জন্য লোক মারফত টাকা দাবি করেন। তিনি দুই লাখ টাকা করে চাইলে তা দিতে ব্যর্থ হন বেকার কর্মচারীরা। এ অবস্থায় ঠিকাদার পুরোনো কর্মচারীদের বাদ দিয়ে লোক নিয়োগ শুরু করেছেন।
কর্মচারীরা বলেন, ‘নতুন সিভিল সার্জন আমাদের দিকে সদয় হবেন বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু তিনি নতুন নিয়োগ করা আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করছেন। গত ১৯ মার্চ সময় শেষ হলেও কর্মচারীরা প্রশাসনিক অনুমোদন আনতে সক্ষম হয়নি। তারপর সিভিল সার্জন নতুন আউটসোর্সিং কর্মচারীদের আবার সময় দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে কর্মচারীরা বলেন, ‘আমরা চাকরি ফেরত চাই, বকেয়া বেতন চাই। পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা চরম দুরবস্থায় আছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সাবেক আউটসোর্সিং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।