ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সাইফুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্যকে মধ্যরাতে বিধবা নারীর ঘর থেকে আটক করেছে স্থানীয়রা। কাজী ডেকে ৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিয়েও দেয়া হয়েছে।খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগেই ওই বিধবা নারীকে নিয়ে চলে যান ইউপি সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বিবাহিত। ঘরে তার স্ত্রী রয়েছেন এবং তারা চার সন্তানের বাবা-মা।
এদিকে ওই নারীর স্বামী প্রায় পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন। তারও দুটি সন্তান রয়েছে। বিধবা ভাতার কার্ড দেয়ার আশ্বাসে সাইফুল ইসলাম ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ।
শনিবার রাতে ওই বিধবা নারীর ঘরে সাইফুল প্রবেশ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে রাত ১২টার পর বাইরে থেকে ওই নারীর ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে সাইফুল ইসলাম ও নারীকে আটকে রাখে এলাকাবাসী। এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে বিধবা নারীকেই বিয়ে করতে রাজি হন তিনি।
রোববার সকালে বিধবা নারীর সম্মতি নিয়ে কাজীর মাধ্যমে দুজনকে বিয়ে করিয়ে দেন স্থানীয়রা। বিয়ের পর চক্ষুলজ্জার ভয়ে স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত নিজ বাড়িতে চলে যান সাইফুল।
কথা হয় বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া কাজী মাহবুবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকালে আমাকে বাসা থেকে ডেকে আনা হইছে। এসে জানতে পারি মেম্বার ও ওই বিধবা নারীকে বিয়ে পড়াতে হবে। এ অবস্থায় দুজনের সম্মতিতেই বিয়ে পড়ানো হয়।’
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রোববার রাত সাড়ে নয়টায় ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, বিধবা নারীর সঙ্গে ইউপি সদস্যকে স্থানীয়রা আটকের পর দুজনেই বিয়ে করতে রাজি হন। রোববার সকালে তাদের বিয়ে হয়। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে সেখানে যাওয়ার আগেই ওই নারীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যান ইউপি সদস্য।