বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ২৩:০০

প্রতিবেশী মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘ছয় মাস আগে হৃদয় ও রাশিদার বিয়ে হয়। মাঝেমধ্যে ঝগড়া হলেও দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল। রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার শব্দ পাওয়া যায়নি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনি রাশিদা আত্মহত্যা করেছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ার সঙ্গে রাশিদার লাশ ঝুলছে।’

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঘরের আড়া থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের মামুননগর এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে রাশিদা বেগম নামে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামীর নাম হৃদয়। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।

রাশিদা বেগম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা গ্রামের ফজলু মিয়ার কন্যা। এই ঘটনার পর থেকে স্বামী হৃদয়সহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।

হৃদয়ের প্রতিবেশী মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘ছয় মাস আগে হৃদয় ও রাশিদার বিয়ে হয়। মাঝেমধ্যে ঝগড়া হলেও দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল। রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার শব্দ পাওয়া যায়নি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনি রাশিদা আত্মহত্যা করেছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ার সঙ্গে রাশিদার লাশ ঝুলছে।’

কথা হয় রাশিদার মা ফাতেমা বেগমের সঙ্গে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন,‘ বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো হৃদয়। চারদিন আগেও আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে জানিয়েছে তার সঙ্গে হৃদয়ের ঝগড়া হয়েছে। তখন রাশিদা আমাদের বাড়িতে আসতে চাইলেও তাকে আসতে দেয়নি।’ তিনি দাবি করেন, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকা হয়েছে।

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুুল হালিম সিদ্দিকী।

তিনি জানান, ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও মাটিতে পা লাগানো অবস্থায় রাশিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে হৃদয় পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করার জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।

ওসি বলেন, ‘নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা।’

এ বিভাগের আরো খবর