চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন রবিউল ইসলাম রাজু ও মো. হানিফ। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
দুই আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি রোববার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
ওই দুইজনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ইন্টার্ন চিকিৎসক হাবিবুর রহমান মামলা করেছিলেন। হাবিবুর সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওসি জানান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার হাবিবুর ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা সবাই শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে পাল্টা মামলা করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারীরা। ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন রিয়াজুল ইসলাম। তবে সেই মামলার কোনো আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবারের ওই হামলার বিচারসহ কয়েক দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তিনদিন পর রোববার সকালে কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে ফেরেন তারা।
এ বিষয়ে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আহ্বায়ক ওসমান গণি বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন তিনদিনের সময় চেয়েছে। তাই তিনদিনের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। তবে প্রত্যাহার করা হয়নি। তিনদিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আবারও কর্মবিরতি শুরু হবে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। প্রশাসনকে তাদের দাবি অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে হাসপাতালে গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও ছিলেন।