বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ জেলায় জেলায়

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ১৭:৩২

গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি তাদের দাবি, পরিবহনশ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা চালু ও সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।

বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চালুর দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছেন পরিবহনশ্রমিকরা।

আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে গণপরিবহন চালু না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকনেতারা।

গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি তাদের দাবি, পরিবহনশ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা চালু ও সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।

এই দাবি নিয়ে সকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ট্রাক ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। টঙ্গীর চেরাগআলী ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে ট্রাকস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়।

সেখানে জেলা ট্রাক ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘করোনাকালে আমরা পরিবহনশ্রমিকরা সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চালু করতে হবে।’

সরকার অনুমতি না দিলেও ৫ মে থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সড়কে গাড়ি চালাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

চট্টগ্রাম আন্তজেলা বাসমালিক সমিতির কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রোববার দুপুরে তিনি বলেন, ‘মালিক ও শ্রমিকদের ৪ তারিখ পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি আমরা।

৪ তারিখের পরে যদি মালিক-শ্রমিকরা নিজ উদ্যোগে গাড়ি চলাচল শুরু করে দেন, তাহলে মালিক সমিতির কিছু করার থাকবে না। তাদের পেটের তাগিদে আমাদের অনুরোধ তারা নাও রাখতে পারেন। তাই ৪ তারিখের আগেই সরকারকে একটা ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করব।’

গণপরিবহন চালুর দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নও।

ময়মনসিংহ নগরীর বড়বাজার থেকে দুপুরে তিন দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন। সেখানে যোগ দেয়া ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা সড়কের বাসচালক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘সামনে ঈদ। পরিবহন শ্রমিকদের কথা কেউ ভাবে না… বর্তমানে আমরা না খাওয়া অবস্থায়। পেট পিঠের লগে লাইগ্গা গেছে। সরকার কিংবা মালিক কেউই আমাদের কথা ভাবে না। তাইলে আমরা কেমনে চলমু?’

আরেক চালক আরিফ মিয়া বলেন, ‘আমরা শ্রমিকরা কাজ করে খাই, কাজ করতে না পারলে আমাদের সংসার চলে না। সরকার একে একে সব চালু করে দিচ্ছে, সড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলতাছে। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত পরিবহন চালু করা হোক।’

জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করেন জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা।

মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। তারা লকডাউনের বিরুদ্ধে না। তবে এ লকডাউনে কথা ছিল মানুষের চলাচল, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোটকাচারি সব বন্ধ থাকার। সে অনুযায়ী, গণপরিবহন বন্ধ থাকলে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচাবাজার, অফিস-আদালত চলছে। এমন অবস্থায় কেবল পরিবহনশ্রমিকরাই ক্ষতিতে পড়েছেন।

খুলনা সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বেলা সাড়ে ১২টায় তিন দফা দাবি আদায়ে সমাবেশ করেছে বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিকরা।

সমাবেশে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, ‘অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালু, শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা প্রদান ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে হবে আমাদের।’

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, ‘প্রায় একমাস ধরে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী বাস। প্রশাসনের কেউ আমাদের কোনো সাহায্য করেনি। সাহায্য না দিয়ে বাস খুলে দিলে আবারও গাড়ি চালিয়ে খেয়ে বাঁচতে পারব আমরা।’

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে মুন্সিগঞ্জ, নীলফামারী, নেত্রকোণা ও লক্ষ্মীপুরে।

এ বিভাগের আরো খবর