নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গরুকে ক্ষেত থেকে বের করে দেয়ায় এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
নির্যাতিত কিশোরের মা কোম্পানীগঞ্জ থানায় শনিবার রাত ১১টার দিকে এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী কিশোর আইয়ুব খান উপজেলার ৮ নম্বর চর এলাহী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলমি এলাকার জাবেদ হোসেনের ছেলে।
শনিবার বিকেলে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলমি গ্রামের সাহাদাত নগরের খালপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরের মামা ইউছুফ মিয়া জানান, তার ভাগিনা আইয়ুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তারা খুব কষ্ট করে চরকলমি গ্রামে পাঁচ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান বর্গা চাষ করে। শনিবার দুপুরের দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীরের ১৪টি গরু তাদের ধানি জমিতে ঢুকে ধান খেয়ে ফেলে।
এটা দেখে আইয়ুব গরুগুলোকে লাঠি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে ধান ক্ষেত থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনা দেখে গরুর মালিক জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হন।
গরু মারধরের অভিযোগে বিকেলে জাহাঙ্গীর, তার ছেলে মাসুদ, ভাড়াটে সন্ত্রাসী সাইফুলসহ আইয়ুবদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আইযুব ও তার মাকে বেধড়ক মারধর করে।
ইউছুফ আরও জানান, একপর্যায়ে হামলাকারীরা আইয়ুবের মাকে মারধর করে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। ওই সময় আইয়ুবকে তাদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়ির একটি কড়ইগাছের সঙ্গে দুই হাত বেঁধে ঘণ্টাব্যাপী নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ভুট্টু নামের এক স্থানীয় দোকানদার তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি অমানবিক। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, কিশোরের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে সে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় তার পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।