বোনকে বাড়ি নেয়ার জন্য তার শ্বশুরবাড়ি যান মুনকির শেখ। সেখানে গিয়ে পেলেন বোনের ঝুলন্ত মরদেহ।
নিউজবাংলাকে এমনটাই বলছিলেন মাদারীপুরের শিবচরের মাধবচর ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গ্রামের মুনকির। তার মৃত বোনের নাম মোছা. রেশমা।
ঘটনাটি শনিবার বিকেলের। মরদেহ উদ্ধারের পর রেশমার স্বামী ঠান্ডু জমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজুল হোসেন।
রেশমার ভাই ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেশমার সঙ্গে কুতুবপুর ইউনিয়নের ঠান্ডু জমাদ্দারের বিয়ে হয় এক বছর আগে। তখন থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে রেশমার কলহ চলছিল।
রেশমার পরিবারের অভিযোগ, প্রায়ই তাকে মারধর করতেন ঠান্ডু।
মুনকির জানান, শনিবার সকালে বোনকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ঠান্ডুর বাড়িতে যান তিনি। ঠান্ডু বাড়িতে নেই জানিয়ে তাকে পরে আসতে বলেন রেশমার শাশুড়ি। বিকেলে আবার সেই বাড়িতে গিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে বোনকে ডাকাডাকি করেন তিনি। খুঁজতে গিয়ে দেখেন রেশমার ঘরের দরজা বাইরে থেকে খিল দেয়া। দরজা খুলে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল বোনের মরদেহ।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় ঠান্ডুকে কুতুবপুর বাজার থেকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন।
খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও ঠান্ডুকে আটক করে শিবচর থানার পুলিশ।
মুনকির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে আমার বোইনরে নিতে আইছিলাম, দুলাভাই বাইত্যে না থাকায় আমার বোইনের শাশুড়ি আমাকে চইলা যাইতে কয়। বিকালে আবার আইয়া আমার বোইনের ঘর বাইরে থেকে আটকাইন্না দেহি। পরে দরজা খুইল্লা ভিতরে গিয়া আমার বোইনের লাশ দেহি। আমার বোইনকে ওরা মাইরা লাশ ঝুলাইয়া রাখছে।’
রেশমার বাবা দাদন শেখ বলেন, ‘বিয়ার পর থেকেই আমার মাইয়ারে তার শাশুড়ি অনেক জালাইত। কিন্তু আমার মাইয়াডারে যে ওরা মাইরা হালাইব এইটা বুঝি নাই। আমি ওগো বিচার চাই।’
ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানার জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মিরাজুল। ঠান্ডু মিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।