পটুয়াখালীর বাউফলে একজনের জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে নেয়ার সময় বাধা দিলে পরিবারটির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার বিকেলে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাদবপুর গ্রামের গোলদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় রাতেই ৯ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবারটি জানায়, গ্রামে চন্দ্র শেখর ন্যায়পতির মালিকানাধীন জমি দখল করতে চাইছেন নোমান বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি।
জমি দখল করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নেয়ার সময় চন্দ্র শেখর ন্যায়পতি বাধা দিলে তার এবং তার পরিবারে ওপর অতর্কিত হামলা চালান নোমান বিশ্বাস ও তার সঙ্গীরা। এ সময় চন্দ্র শেখর ন্যায়পতির মাথায় আঘাত করা হয় দা দিয়ে।
তার চিৎকার শুনে তার ভাই ননী গোপাল, সজল চন্দ্র ও পুত্রবধূ রেখা রানী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
নোমানের সঙ্গে থাকা শাহজাহান বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস, মো. সাইফুল, মো. শাওন লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি সবাইকে আঘাত করেন বলেন অভিযোগ করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
পরে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন চন্দ্র শেখর ন্যায়পতি, ননী গোপাল, সজল চন্দ্র ও রেখা রানীকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক তাসরিফুল ইসলাম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
চন্দ্র শেখর ন্যায়পতি বলেন, ‘জমিটি আমাদের কেনা। কিছুদিন ধরে নোমানরা এই জমি দখল করে মাটি কেটে নেবার পাঁয়তারা চালাচ্ছিলেন। ওরা ভেকু নিয়া মাটি কাটতে আসলে আমি বাধা দেই। তখন আমি ও আমার পরিবারের লোকজনদের ওপর হামলা করা হয়।’
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন বলেন, ‘রাতে অভিযোগ পেয়েই আমরা অ্যাকশনে যাই এবং মামলার এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করি। বাকিদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।’