ভারতে কিডনির চিকিৎসা করাতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া কুষ্টিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার স্মৃতির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তার মরদেহ যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে আসে।
কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়িয়ার মঞ্জুর চিশতীর স্ত্রী স্মৃতি কিডনির চিকিৎসা করাতে গত ২০ মার্চ বেনাপোল হয়েই ভারত যান। এক সপ্তাহ আগে তার করোনা ধরা পড়ে। তিন দিনের মাথায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বৃহস্পতিকার নেয়া হয় আইসিইউয়ে। শুক্রবার বিকেলে তিনি মারা যান।
ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে উদ্বেগ আছে বাংলাদেশে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যাত্রী দেশটিকে যাওয়া আসা করেন বলে এই উৎকণ্ঠা। আর করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় সীমান্ত।
ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশিরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন। তবে তাদেরকে সীমান্ত এলাকাতেই থাকতে হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে। সীমান্তেই পরীক্ষা করা হচ্ছে করোনা। পজিটিভ প্রমাণ হলে নেয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
সেই করোনাতেই স্মৃতির মৃত্যুর কারণে তার মরদেহ দেশে আনতে গিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়েছে।
স্মৃতির মামা সাংবাদিক নুরুন্নবী বাবু নিউজবাংলাকে জানান, কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে মরদেহের ছাড়পত্র দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে গাড়িতে করে মরদেহ নিয়ে আসা হয় বেনাপোল বন্দরে। কিন্তু দূতাবাস থেকে ইমেইল না আসায় বাংলাদেশ প্রান্তের কাস্টমস মরদেহ ছাড়তে বিলম্ব করে।
পরে আবার টেলিফোনে দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে তারা ইমেইলটি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এরপরই সাড়ে আটটার দিকে মরদেহ গ্রহণ করেন তার স্বজনরা।
রাত নয়টার দিকে যখন সাংবাদিক নুরুন্নবী বাবুর সঙ্গে কথা হয়, তখন তিনি জানান, মরদেহবাহী গাড়ি যশোর পেরিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে রওয়ানা হয়েছে। রাতেই মরদেহটি কুষ্টিয়ায় দাফন করা হবে।