চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসা বন্ধ রেখে চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবারের ওই হামলার বিচারসহ কয়েক দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
তাদের দাবিগুলো হলো সংঘর্ষের সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি প্রদান, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার এবং ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে ইন্টার্নদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া।
চমেক ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আহ্বায়ক মো. ওসমান গণি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দাবি না মানলে আমরা কাজে যোগ দিব না।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এখনও দাবি মানা হয়নি, তাই আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।’
এই বিষয়ে জানার জন্য চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীরকে ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যোগ না দেয়ায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবায় এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিসিন বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, ‘ইন্টার্নরা রোগীর ছোটখাটো বিষয়গুলো দেখেন। তারা না থাকায় এসব চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।’
তবে কর্মবিরতির কারণে করোনা ইউনিটের চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চমেক হাসপাতালে প্রায় ৩০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। গত বছরের আগস্ট মাসেও মারামারির পর একবার তারা কর্মবিরতি পালন করেন।
মঙ্গলবার রাতে চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও রয়েছেন।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষই দুটি মামলা করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি