বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মে দিবস: সাভারের পথে পথে নানান কর্মসূচি

  •    
  • ১ মে, ২০২১ ১৫:৩৩

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে লাল পতাকা হাতে সকাল ৯টার‌ দিকে র‍্যালি বের করে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। পরে র‌্যালিটি সড়কটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে জামগড়া এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের পথে পথে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সমাবেশ পালন করেছেন শ্রমিকরা।

শনিবার সকালে সাভারের বিধ্বস্ত রানা প্লাজার সামনে সমাবেশ ও আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় মানববন্ধন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে লাল পতাকা হাতে সকাল ৯টার‌ দিকে র‍্যালি বের করে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। পরে র‌্যালিটি সড়কটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে জামগড়া এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

এরপর একই সড়কে র‌্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এবং শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন।

পরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও র‌্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন।

এসব সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা শ্রমিকদের ওপর নানা নির্যাতন বন্ধ ও তাদের অধিকার আদায়ের জোর দাবি জানান।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘২০২০ সালের মার্চের পরে প্রায় ৮ লক্ষ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। যাদের পাওনা টাকা দেয়া হয় নাই।’

‘এই যে শ্রমিকরা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় করে, যারা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে, সেই শ্রমিকদের পাওনাদি ফেলে রেখে যেতে বাধ্য করেছিল। সেই সময় বিভিন্ন কারখানায় লে-আউটের নাম করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ সালে ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টে আগুনের হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবাররা আজও দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ক্ষতিপূরণের জন্য। তারা বারবার আন্দোলন করছে আর সরকার বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে না। এই সমাবেশ থেকে আমরা তাদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে সেই ১৮৮৬ সালের মতো বর্বরতা আবার শুরু হয়েছে। যে জায়গায় ১৮৮৬ সালে কথা ছিল আট ঘণ্টা শ্রম, আট ঘণ্টা তার রেট। কিন্তু আজও দেখছি রাতের আঁধারে শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে কাজ করানো হচ্ছে।

‘এই করোনার ভেতর সবকিছু বন্ধ থাকলেও এই গার্মেন্টস সেক্টর বন্ধ নাই। কেননা, এই গার্মেন্টস মালিকরাই তো আজ ক্ষমতায়। তারা যেভাবে চালাবেন সেই ভাবেই তো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর