নওগাঁর আত্রাইয়ে মাকে হত্যার পর গোপনে দাফনের চেষ্টার অভিযোগে ছেলে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার দিঘা গ্রামের মৈত্রীপাড়ায় খুনের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, শুক্রবার ভোররাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মা জাহিদা প্রামাণিকের মাথায় শিলপাটা দিয়ে আঘাত করেন ছেলে জাহিদুল ও তার স্ত্রী রহিমা। ঘটনাস্থলেই জাহিদার মৃত্যু হয়। পরে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন ছেলে জাহিদুল।
তারা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাহিদুল মাকে দাফনের প্রস্তুতি নেন। তবে মরদেহ কয়েকজন নিকট আত্মীয় ছাড়া কাউকে দেখতে দিচ্ছিলেন না তিনি। এ সময় জাহিদুলের চলাফেরা ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জোর করে মরদেহ দেখে মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তারা।
থানায় খবর দিলে পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় রনি হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৬০ বছরের জাহিদা সুস্থই ছিলেন। তার হঠাৎ মৃত্যুতে তাদের সন্দেহ হয়। এ ছাড়া ছেলে জাহিদুল নিকট আত্মীয় ছাড়া কাউকে মরদেহ দেখতে দিচ্ছিলেন না। দাফনের জন্য খুব তাড়াহুড়া করছিলেন। এ কারণে সবার মনে সন্দেহ হয়।
তারা জানান, দুপুরের দিকে জোর করে স্থানীয়রা মরদেহ দেখেন। এ সময় মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত দেখতে পান তারা। পরে মরদেহ দাফন করতে না দিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল ও রহিমা হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।
জাহিদার আরও কোনো সন্তান না থাকায় পুলিশ সন্ধ্যা সাতটার দিকে থানায় মামলা করেছে জানিয়ে ওসি বলেন, শনিবার সকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি নিকট আত্মীয় ও স্থানীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে।