গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো ছুরি নিয়ে কিশোরের হামলার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দত্তপাড়া হাজী মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম মিজানুর আলম সাব্বির ওরফে কেবিডি।
১৮ বছর বয়সী এই কিশোরের বাড়ি দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকায়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ইলতুৎমিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, কিশোর মিজানুর আলম সাব্বির এলাকায় কেবিডি নামে পরিচিত। কিশোর অপরাধের সম্পৃক্ততার অভিযোগে এক বছর আগে তাকে বের করে দেয়া হয়।
তার বাবা-মায়ের মধ্যেও বিচ্ছেদ হয়েছে। অভিভাবকহীন সাব্বির অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় ৪৮ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সজল সরকার তার বাসায় আশ্রয় দেন তাকে।
এলাকার অলি-গলিতে বিভিন্ন সময় মারামারির অভিযোগ রয়েছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে। আরও কিছু উঠতি বয়সী তরুণ ও কিশোর রয়েছে তার সঙ্গে।
উপ-পুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ধারালো ছুরি হাতে বনমালা এলাকায় এক কিশোরের হামলার ভিডিও আসে আমাদের হাতে। সেই ভিডিও দেখে পুলিশের একটি টিম দত্তপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।’
‘তার সঙ্গে অপরাধপ্রবণ আরও বেশ কয়েকজন কিশোর ও যুবকের নাম পেয়েছি আমরা। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে-বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির জানিয়েছেন তার পরিচিতি কেবিডির কে তে- কামলা, বি তে- বলদ, ডি তে- ডমেস্টিক। অর্থাৎ কেবিডি মানে কামলা বলদ ডমেস্টিক। তার সহযোগীরা তাকে এই নামে ডাকত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর টঙ্গীর বনমালা (শান্তিবাগ) এলাকার এইচএম মেহেরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শুক্রবার টঙ্গী পূর্ব থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।