বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রাহকদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইটভাটা মালিক

  •    
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ২১:২১

এ ব্যাপারে ফেনীর ফুলগাজী থানার ওসি কুতুব উদ্দিন বলেন, শুনেছি অনেকে আদালতে মামলা করেছেন। মৌখিকভাবেও অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে। কিন্তু লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ দেয়নি।

ফেনীতে গ্রাহকদের ইট দেয়ার কথা বলে দেড় কোটি টাকা অগ্রীম নিয়ে ইটভাটা মালিক লাপাত্তা হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলার ফুলগাজী উপজেলার বৈরাগপুরের নিউ পরফুল ব্রিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাছান শুধু গ্রাহকদেরই নয়, অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মজুরিও বকেয়া রেখে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

ফুলগাজী থানার ওসি কুতুব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ইট কেনার জন্য ৬১ জন গ্রাহকের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়ে গত ২৩ মার্চ রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাছান।

এলাকায় তিনি হুজুর নামে পরিচিত। ইট পাওয়ার আশায় প্রতিদিন ইট ভাটার সামনে এসে ভিড় করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। মালিকের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করলে সাড়া পাওয়া যায় না।

পার্শ্ববর্তী পরশুরাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি গত বছরের আগস্ট মাসে ২০ হাজার ইটের জন্য অগ্রিম এক লাখ দিয়েছি। আমাকে ইট বুঝিয়ে না দিয়ে মাহমুদুল হাছান হাওয়া হয়ে গেছেন।

ফুলগাজীর গোসাইপুর গ্রামের শামীম মজুমদার বলেন, আমি ৩ লাখ ইটের জন্য বিভিন্ন কিস্তিতে ৭ লাখ টাকা দিয়েছি। এর মধ্যে কিছু ইট নিয়েছি। এখনও বেশির ভাগ ইট বাকি। এর মধ্যে মালিক পালিয়েছেন। ইট অথবা টাকা কীভাবে উদ্ধার করব জানি না।

মাটি কাটার শ্রমিকের সর্দার ছাদেক মাঝি বলেন, আমরা সবাই নিম্ন আয়ের শ্রমিক। কেউ মাটি কাটে, কেউ মাটি টানে। আমাদের মজুরি না দিয়ে পালিয়েছেন মালিক। আমরা কীভাবে টাকা উদ্ধার করব তার কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না। অর্ধশতাধিক দিনমজুরের টাকা বকেয়া।

ইটভাটায় থেকে গেছেন মজুরি না পাওয়া শ্রমিকরা। ছবি: নিউজবাংলা

লালমনিরহাট জেলার মাটি কাটার শ্রমিক মো. আপেল, শিমুল ইসলাম, মো. আশিক, মিঠু রায়, মো. ফারুক ও সুমন ইসলাম বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় এখনও ইটভাটায় অপেক্ষা করছেন। তাদের প্রত্যেকে ২০-২৫ হাজার টাকা করে পাওনা।

তারা জানান, ঈদে একসঙ্গে টাকা পাওয়ার আশায় তারা এতদিন কাজ করেছেন।

ব্রিকসের ম্যানেজার সপ্তম সাহা বলেন, প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে মালিক (এমডি) হাছান মাহমুদ পালিয়ে গেছে। এখন সব মানুষ আমাকে ধরছে। আমি কী করব? আমিও তো এখানে টাকার জন্য চাকরি করছি। আমারও ৪ মাসের বেতন বাকি। এমডির নম্বরে ফোন করলে তার স্ত্রী ফোন ধরেন। বলেন, তার (এমডি) কোনো খোঁজ জানেন না।

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার বলেন, আমিও ইটের জন্য বেশ কিছু টাকা দিয়েছি। লোকটাকে দেখে প্রতারক বলে মনে হতো না। তিনি এতগুলো মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। মানুষ এখন আমার অফিসে এসে ধরণা দিচ্ছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে ফেনীর ফুলগাজী থানার ওসি কুতুব উদ্দিন বলেন, শুনেছি অনেকে আদালতে মামলা করেছেন। মৌখিকভাবেও অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ দেননি।

এমডির অগ্রিম নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ওসি। তিনি বলেন, কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর