ভারতের কোচবিহারের ময়নাবিবির ছাগল নিয়ে হুলুস্থুল হলো কুড়িগ্রাম সীমান্তে।
ছাগলটি ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশে। নিম্ন আয়ের ময়নাবিবিও আসেন পেছন পেছন। বিদেশি বলে আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পরে জানা যায় পুরো কাহিনি।
পরে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ হয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের। তাদের একটি প্রতিনিধি দল আসে। দুই পক্ষের পতাকা বৈঠক শেষে ময়নাবিবি তার ছাগল নিয়ে ফেরেন নিজ দেশে; নিজ বাড়িতে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম তৌহিদুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, ছাগল নিতে ময়নাবিবি বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকেন শুক্রবার সকালে। আর পতাকা বৈঠক শেষে তিনি দেশে ফেরেন দুপুরের পর।
বিজিবি জানায়, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের খলিশাকোঠাল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় দুই শ গজ ভেতরে ঢোকেন ময়নাবিবি।
ওই এলাকায় টহল দেয়া বিজিবির বালারহাট ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে ময়নাবিবি তার সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কথা বিজিবির কাছে খুলে বলেন। তিনি জানান, তার বাড়ি কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার বোসকোঠাল গ্রামে।
খবরটি পৌঁছে বিএসএফের বোসকাঠোল ক্যাম্পেও। তারা যোগাযোগ করে বিজিবির সঙ্গে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে আসে বিএসএফের প্রতিনিধি দল।
সংক্ষিপ্ত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির সদস্যরা ময়নাবিবিকে বিএসফের হাতে তুলে দেন।
বৈঠকে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি-ব্যাটালিয়নের অধীন বালারহাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার ফরিদুর রহমান এবং ভারতীয় ৩৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন বসকোঠাল ক্যাম্পের এস আই শ্যাম পাল উপস্থিত ছিলেন।
আটকের প্রায় চার ঘণ্টা বেলা তিনটার দিকে এই নারী ছাগলসমেত বিএসএফের সঙ্গে ফিরে যান নিজ দেশে।
বিজিবির লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। অবৈধভাবে কোনো ভারতীয় নাগরিক এদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য টহল অব্যাহত থাকবে।’
বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে বিজিবি। এতে বলা হয়েছে, ময়নাবিবির বিষয়টি নিয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে প্রতিবাদলিপি প্রেরণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।