বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করমজল কেন্দ্রে বাটাগুর বাসকার ৩৭ বাচ্চা

  •    
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ২০:০৮

বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের ৫০টি ডিম প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছিল। ডিমগুলো থেকে ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে বাচ্চা হওয়ার কথা থাকলেও এ বছর অত্যাধিক তাপদাহে যথাক্রমে ৬২ ও ৫৯ দিনেই বাচ্চা ফুটেছে।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের ডিম থেকে ৩৭টি বাচ্চা ফুটেছে।

প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পারে প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছিল ৫০টি ডিম। শুক্রবার বিকেলে তা থেকে ৩৭টি বাচ্চা ফুটেছে। এসব বাচ্চা কেন্দ্রের বিশেষ প্যানে রেখে পরিচর্যা করা হচ্ছে।

প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, চলতি প্রজনন মৌসুমে এই কেন্দ্রে ৯৬টি ডিম দিয়েছে চারটি বাটাগুর বাসকা।

এর মধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম একটি কচ্ছপ ২৭টি ডিম পাড়ে। এরপর ৩ মার্চ রাতে আরেকটি কচ্ছপ ২৩টি ডিম দেয়। এই ৫০টি ডিম প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছিল। ডিমগুলো থেকে ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে বাচ্চা হওয়ার কথা থাকলেও এ বছর অত্যধিক তাপদাহে যথাক্রমে ৬২ ও ৫৯ দিনেই বাচ্চা ফুটেছে।

অপর দুটি কচ্ছপের মধ্যে একটি গত ৫ মার্চ ২৩টি এবং ২০ মার্চ আরেকটি কচ্ছপ ২৩টি ডিম দেয়। ওই ৪৬টি ডিমও প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পারে প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে।

করমজলের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীতে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ বিলুপ্তপ্রায়। এর মধ্যে ২০০৮ সালে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকার সন্ধান মেলে। ২০১৪ সালে ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেয়া ৯৪টি বাচ্চা করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও জানান, এ প্রজনন কেন্দ্রে ২০১৭ সালে প্রথম দুটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা জন্ম নেয়। এরপর ২০১৮ সালে ৪৬ ডিম থেকে ২১টি, ২০১৯ সালে ৩২টি ডিমের সবগুলো থেকে এবং ২০২০ সালের ১০ মে ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা জন্ম নেয়।

ইতিমধ্যে এ কেন্দ্র থেকে ২০১৭ সালে দুটি, ২০১৮ সালে পাঁচটি এবং ২০১৯ সালে আরও পাঁচটি বাটাগুর বাসকা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর