করোনা থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি চেয়ে বাগেরহাটের সব মসজিদে জুমার নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। এদিকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতেও বৃষ্টির জন্য ইস্তিরকার নামাজ আদায় করা হয়।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার নয় উপজেলার সব মসজিদে একযোগে এই বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়াসেল ও জেলা প্রশাসকের পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে মুসল্লিদের এই বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়।
বাগেরহাটের জেলা কালেক্টরেটের মসজিদে জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখনও বাগেরহাটে কোনো বৃষ্টির দেখা নেই। দক্ষিণের জেলা বাগেরহাটে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
‘একদিকে প্রচণ্ড তাপ, অন্যদিকে মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এসব কারণে আমরা সবাই এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। সেই কারণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করি।’
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নামাজ আদায় করা হয়েছে। মুসল্লিরা নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে হাত তুলে বৃষ্টি চেয়েছেন। মুক্তি চেয়েছেন অতিমারি করোনা থেকে।
জেলার মন্দির ও গির্জাগুলোতেও শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ব-স্ব ধর্মাবলম্বীরা একইভাবে বিশেষ প্রার্থনা করবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
পিরোজপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ
জেলার ইন্দুরকানী উপ্পজেলায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ ইস্তিরকার নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয়রা মুসল্লিরা।
উপজেলা সদরের সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই নামাজ আদায় করা হয়।
গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহ, খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে এ নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। নামাজ শেষে অব্যাহত অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য ও আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নামাজে ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন থানা মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. সেকেন্দার আলী মীর।