বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষি জমির মাটি জোর করে কেটে নিচ্ছে ইটভাটায়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৪৪

ভোলার চর ভেদুরিয়া ও বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জের আলীমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া (৮নম্বর ওয়ার্ড) সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষি জমি থেকে ইটভাটার চালক এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে তুলে ভাটায় পাঠাচ্ছেন। এ সময় ছবি তুলতে গেলে এস্কেভেটর চালক মো. মিরাজ পালিয়ে যান।

ভোলার সদর উপজেলায় রিয়াদ ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কৃষি জমির মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জমির মালিকদের অভিযোগ, তাদের নিষেধাজ্ঞার পরও ইটভাটার মালিক জহিরুল ইসলাম হুমকি দিয়ে মাটি কেটে ভাটায় নিচ্ছে।

সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর ভেদুরিয়া মৌজার প্রায় আড়াই একর কৃষি জমির মাটি এস্কেভেটর (মাটি খনন যন্ত্র) মেশিনে কেটে ইটভাটায় নেয়া হয়েছে।

বুধবার ভোলার চর ভেদুরিয়া ও বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জের আলীমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া (৮নম্বর ওয়ার্ড) সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষি জমি থেকে ইটভাটার চালক এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে তুলে ভাটায় পাঠাচ্ছেন। এ সময় ছবি তুলতে গেলে এস্কেভেটর চালক মো. মিরাজ পালিয়ে যান।

স্থানীয় এক জমার মালিক হালিমা খাতুন জানান, ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর জমির মালিক কাজল চৌধুরীর কাছ থেকে ৭২ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি। ওই জমিতে তার ছেলেরা চাষাবাদ করে আসছে। জমিতে এখনও কুমড়ো গাছ রয়েছে। সেই জমির মাটি জোর করে কেটে নিচ্ছেন জহিরুল।

ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেন ও মো. সবুজ একই অভিযোগ করেন জহিরুলের বিরুদ্ধে।

তোফাজ্জলের ৪৮ শতাংশ ও সবুজের ৪০ শতাংশ জমির মাটিও ইটভাটায় নিচ্ছেন জহির।

স্থানীয় একাধিক কৃষক জানায়, এমনভাবে জহির মাটি কেটে নিচ্ছেন, তাতে পাশের জমির মাটি ভেঙে পড়ছে। এভাবে চলতে থকেলে এক সময় এলাকায় আর কৃষি জমি থাকবে না। সব খাল ও পুকুরে পরিণত হবে।

জানতে চাইলে ইটভাটার মালিক জহিরুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাটি তিনি জোর করে কাটছেন না, কিনে নিয়েছেন। শামীম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি তার কাছে মাটি বিক্রি করেছেন।

মাটি বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে শামীম বলেন, তিনি জমির প্রকৃত মালিকের সঙ্গে দাম-দর করেই মাটি কিনে কাটছেন। যারা জমির মালিকানা দাবি করছেন, তারা এতোদিন জোর করে ভোগ-দখল করেছেন। তারা জমির প্রকৃত মালিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ভোলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, করোনা মহামারি ও লকডাউনের কারণে কোনো অভিযোগ পেয়েও অভিযান চালানো যাচ্ছে না। তারপরেও প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

ভোলার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, তিনি সদর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার ও তহশিলদারকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের জন্য বলেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর