ধর্ষণ মামলার আসামি বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। জসীমের অবস্থান ঢাকায় বলে বিভিন্ন লোকজন নিশ্চিত করলেও পুলিশ বলছে তাকে ‘খুঁজে পাওয়া’ যাচ্ছে না। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়নি সাংগঠনিক ব্যবস্থা। এ পরিস্থিতিতে মামলার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাদী।
পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগ নেতা জসীম বিয়ে করার পরদিন ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন এক তরুণী। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় করা অভিযোগটি যাচাই বাছাই করে ২২ এপ্রিল মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তার আগেই আত্মগোপনে চলে যান জসীম উদ্দিন।
মামলার বাদী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ হলেই যেখানে দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার হয় সেখানে এ মামলা করার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। জসীমের বিরুদ্ধে কেউই ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমন অপরাধ করেও কি পার পেয়ে যাবে জসীম?’
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, যে তরুণী ধর্ষণ মামলা করেছেন তার সাথে জসীমের সম্পর্ক ছিল অনেকটাই প্রকাশ্য। সে সময়ে আরেক তরুণীর সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল জসীমের। সেই তরুণীকে ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতেও রাখা হয়।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জসীমকে আইনের আওতায় আনতে হবে। নানা কেলেঙ্কারির হোতা ও অবৈধভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া জসীমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আমরা দাবি জানিয়েছি।’
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মামলার আসামির অবস্থান ঠিকভাবে ট্রেস করতে পারছি না। অতিদ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে তাকে।’