নড়াইল সদর হাসপাতালের ইউজার ফিয়ের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হিসাবরক্ষক জাহান আরা খানম লাকিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুর শাকুর বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে লাকিকে সাময়িক বরখাস্ত করার চিঠিটি বৃহস্পতিবার নড়াইল সদর হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে।
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় লাকির বিরুদ্ধে গত ২৪ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। যশোরের দুদক সমন্বিত জেলা কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল নড়াইল বিশেষ হাকিম আদালতে মামলা করেন।
আব্দুর শাকুর নড়াইল সদর থানায় গত ১৪ এপ্রিল অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৯১২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হিসাবরক্ষক জাহান আরা খানম লাকির বিরুদ্ধে অভিযোগটি করা হয়।’
হিসাবরক্ষক জাহান আরা খানম লাকির বাড়ি নড়াইল শহরের আলাদাতপুরে। তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত হাসপাতালের ইউজার ফি-এর (রোগী ভর্তি ফি, ওটি চার্জ, চিকিৎসা ফি, প্যাথলজি, অ্যাম্বুলেন্স, কেবিন ফিসহ বিভিন্ন খাতের) ২১ মাসের ৭০ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা না দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসককে সদস্য করে ৭ এপ্রিল একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটি ৪৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।
নড়াইল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আবু সেলিম জানান, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে যে ৪৩টি চালান দেখান তার মধ্যে ৯টি চালান সঠিক এবং বাকি চালানের সিল ও স্বাক্ষর জাল। এসব চালানে ১৩ লাখ ১২ হাজার ৫২০ টাকা ব্যাংকে জমা পড়েছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গত সোমবার লিখিতভাবে জানানো হয়।’
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ডা. আ.ফ.ম মশিউর রহমান বাবু বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৪টি জাল চালান এবং ৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৯১২ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং এ ঘটনায় হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জাহান আরা লাকিকে দায়ী করা হয়েছে।’