পাবনার ঈশ্বরদীতে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে তার শ্বাশুড়িকে।
পৌরসভার মশুড়িয়াপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম মুক্তি খাতুন রিতা। তিনি রূপপুর প্রকল্পে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বায়োজিদ সারোয়ারের স্ত্রী।
রিতার শ্বাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনুকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, তার ছেলে রূপপুর প্রকল্পে বেশ কয়েকজনকে চাকরি দিয়েছেন। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় ৫ জন যুবক তাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় বায়োজিদ ঘরে ছিল না। ওই যুবকদের বসিয়ে আপ্যায়ন করছিলেন পুত্রবধূ। তিনি পাশের ঘরে ছিলেন।
হঠাৎ যুবকরা ঘরে ঢুকে তাকে গলা টিপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তিনি চিৎকার শুরু করলে তারা পালিয়ে যান। পরে তিনি পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে তার গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান।
নিলিমা খাতুন বলেন, ওই যুবকদের মধ্যে একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তার নাম সাব্বির হাসান, বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল চরগোবিন্দপুর গ্রামে।
পাবনার ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান, পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রিতার স্বামী বায়োজিদ সারোয়ার জানান, তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাংলা পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার মামা বাড়ির এলাকা থেকে কিছু লোক বাসায় আসবে তাই তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি কাউকে দেখেননি। তবে তার মায়ের কাছ থেকে সব শুনেছেন।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, টাকার বিনিময়ে অনেক বেকারকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি দিয়েছেন বায়োজিদ। সেই টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে এই হত্যা হতে পারে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ‘অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কী কারণে রিতাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।