চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অবিবাহিতা কিশোরী মেয়ের জন্ম দেয়া সন্তানকে অন্যের বাড়িতে রেখে এসেছেন তার মা।
পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ওই কিশোরী। আর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জানিয়েছেন, পাঁচ হাজার টাকায় নবজাতককে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুধবার রাতে ওই কিশোরী ছেলেসন্তানের জন্ম দেয়।
কিশোরীর মা জানান, স্বামী তাদের অনেক আগেই ছেড়ে গেছেন। এখন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে তিনি সংসার চালান। তার বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়ে আর ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকতেন। কাজে গেলে তারা বাসায় একাই থাকত। ছোট মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, যার বয়স ১৮ বছর।
তিনি জানান, তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখা গেলে তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। প্রতিবন্ধী হওয়ায় তেমন কিছুই সে বলতে পারেনি। লোকলজ্জায় তাকে ঘরেই লুকিয়ে রাখা হতো। কিন্তু টাকার অভাবে গর্ভপাতও করাতে পারেননি।
ওই নারী জানান, বুধবার সন্ধ্যায় মেয়ের প্রসব বেদনা ওঠে। তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে রাতে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেয়।
তিনি বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে রাতেই জীবননগর পৌর শহরের আঁশতলা পাড়ার এক আত্মীয়ের কাছে ওই শিশু সন্তানকে দিয়ে আসেন।
ওই নারী তার মেয়ের গর্ভধারণে দায়ী ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সোহেল রানা শ্যামল জানান, পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, নবজাতককে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন ওই কিশোরীর মা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, মেয়েটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।