নেত্রকোণার মদনে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
গৃহবধূর বাবা মদন থানায় অভিযোগ করেছেন।
গৃহবধূর নাম কলি আক্তার। তার স্বামী রাসেল মিয়া মদন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জাহাঙ্গীরপুরের বাসিন্দা।
বুধবার দুপুরে মদন থানায় কলি আক্তারের বাবা মদন সদরের বাড়িভাদেরা গ্রামের রশিদ মিয়া অভিযোগটি জমা দেন।
এতে বলা হয়েছে, রাসেল মিয়া এক বছর আগে কলি আক্তারকে বিয়ে করেন। প্রেম করে বিয়ে করলেও কলিকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন রাসেল।
যৌতুকের টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানালে কলির উপর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার রাতে যৌতুকের টাকা এনে দেয়ার জন্য আবার চাপ দিলে কলি আবার না করেন। তখন কলির গলায় দা দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালার রাসেল।
সে সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘর থেকে কলিকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার গলায় আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
হাসপাতালে কলি আক্তার বলেন, ‘আমারে বাপের বাড়ত্তে টেহা আইন্যা দেওনের কতা হয়। না করলে মারে। কাইল আবার টেহা আনত কইলে আমি না হরি। পরে আবার মারে। দাও দেয়া গলাত মারে।’
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সৈয়দ সায়েম হাসান জানান, ‘কলি আক্তারের হাতে, বুকে, পিঠে, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
মদন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, কলি আক্তারের বাবার অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলির স্বামী রাসেল মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।