মাদারীপুরের কালকিনিতে ছেলেকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করে তোফাজ্জেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে তিনি বিচারকের কাছে এ জবানবন্দি দেন।
২৫ এপ্রিল রাতে উপজেলার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জেল হোসেন তার নিজ ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেন এবং নিজেও বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী এক চা বিক্রেতার সঙ্গে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তোফাজ্জেলের মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। লোকলজ্জার ভয়ে ছেলে ও নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে তিনি। সেই অনুযায়ী রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে রনিকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে তিনি বিষ পান করেন।
আশপাশের লোকজন ঘটনা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে রনির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি তোফাজ্জেলকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সুস্থ হলে তাকে মাদারীপুর আদালতে তোলা হলে তিনি বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘তোফাজ্জেল বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’