ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গৃহবধূ তাছলিমা খাতুন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা ঘাতক স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবা আক্তারের বিচারিক আদালতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সোহেল মিয়া ।দাম্পত্য জীবনে বিরোধের জেরে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেন তিনি। পরে তাছলিমা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে স্বামী অপপ্রচার চালান।জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, ‘গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাতে ঈশ্বরগঞ্জের চর পুবাইল গ্রাম থেকে তাছলিমা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিহতের স্বামী ও পরিবারের লোকজন অপপ্রচার চালায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়।’
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মুস্তাকীম বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(ক) ৩০ ধারায় গত বছর ৪ ডিসেম্বর মামলা করেন।
পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করা হয়। ঘাতক স্বামী সোহেল মিয়াকে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রীজ মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে হয়।গ্রেপ্তার সোহেলের বরাত দিয়ে ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরও বলেন, ‘দাম্পত্য জীবনে চলা বিরোধের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে।’ হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাছলিমা মারা গেছেন বলে অপপ্রচার চালায় তারা।