বগুড়ার শাজাহানপুর আব্দুল খালেক নামে এক ব্যবসায়ীকে থানায় ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খালেক। চাল ব্যবসায়ী খালেকের বাড়ি উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ন মোড় পর্যন্ত চারলেনের কাজের জন্য রহিমাবাদ এলাকায় খালেকের জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশনের (সাসেক) নির্দেশে বুধবার সকালে ওই জায়গায় থাকা নিজের স্থাপনা অপসারণের কাজ শুরু করেন খালেক।
ওই সময় ঘটনাস্থলে যান শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান। তিনি খালেককে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসআই আব্দুর রহমানের কথা অনুযায়ী, খালেক দুপুর ১২টার দিকে থানায় ওসির সঙ্গে দেখা করতে যান। কক্ষের সামনে গেলে তাকে দেখেই উত্তেজিত হলে গালিগালাজ শুরু করেন ওসি মামুন। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন ওসি।
অভিযোগের বিষয়ে ওসি মামুন বলেন, ‘খালেক তার সাবেক স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে ভাঙচুর শুরু করেন। তার স্ত্রীর অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা মিথ্যা।’
ওসি জানান, খালেকের সাবেক স্ত্রীর নাম রুবিয়া বেগম। প্রায় ৬ মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
রুবিয়ার বিষয়ে খালেক বলেন, ‘আমি সাসেকের নির্দেশে নিজের বাড়ি অপসারণ করছিলাম। আমার সাবেক স্ত্রী ও দুই সন্তান ওই বাড়িতেই থাকে। আমি তাদেরকে বাড়ি ছাড়তে বলেছি। কিন্তু তারা তা মানেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওই ভবনটি চার শতক জায়গার ওপর অবস্থিত। এর মধ্যে এক শতক আমার নামে খারিজ করা আছে।
‘আর বাকি তিন শতকের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তবে বাকি তিন শতকও আমি পাব, এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু আমার সাবেক স্ত্রী নিজের মালিকানা দাবি করে আসছে।’
খালেক বলেন, ‘আমি নিজে জায়গা কিনে স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছিলাম। তখন সে আমার স্ত্রী ছিল। কিন্তু সে (রুবিয়া) ওই জায়গা ব্যাংকে মর্টগেজ রাখে। পরে আমি নিলাম সূত্রে জমির মালিক হয়েছি।
‘সর্বশেষ সাসেক আমাকে ভবন অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে, আমি সেটা পালন করছি।’
এ বিষয়ে খালেকের সাবেক স্ত্রী রুবিয়া বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ‘অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’