বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবজাতকের মরদেহ কার্টনে, চিকিৎসকের অদক্ষতার অভিযোগ

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৩৬

‘এটি বুঝবের পাই নাই। বাড়িত নিয়ে যায়া টের পাছি। বাক্স খুলে দেখি প্রসাব আর পায়খানায় রাস্তা কাটি ফেলাচে। এটা দেখি হামি অজ্ঞান হয়া গেছি।’

গাইবান্ধার সাঘাটায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অদক্ষতায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ওই শিশুর মরদেহ কার্টনে ভরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাঘাটার বোনারপাড়া ডিজিটাল হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে প্রসবের সময়ই নবজাতকের মৃত্যু হয়। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ জানায়নি নবজাতকের পরিবার।

নবজাতকের বাবা হাবিবুর রহমান জানান, স্ত্রী মমিনা বেগমের প্রসববেদনা উঠলে তাকে মঙ্গলবার দুপুরে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুপুরেই অস্ত্রোপচারে তাদের কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের খোরশেদুর রহমান পাপ্পু ও রাকিবুল হাসান রাকিব।

হাবিবুর অভিযোগ করেন, অস্ত্রোপচারের আগে তার স্ত্রীর কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। অস্ত্রোপচার দুপুরে শেষ হলেও বিকালে চিকিৎসকরা কার্টনে করে শিশুটিকে নিয়ে এসে জানান, জন্মের সময় তার মৃত্যু হয়েছে। শিশুর মা তখনও অসুস্থ।

সন্তানের কার্টনবন্দি মরদেহ বাড়ি নিয়ে যান তিনি। সেখানে কার্টন খুলে দেখেন, মরদেহের শরীরেবেশ কিছু কাটা দাগ।

হাবিবুর বলেন, ‘এটি বুঝবের পাই নাই। বাড়িত নিয়ে যায়া টের পাছি। বাক্স খুলে দেখি প্রসাব আর পায়খানায় রাস্তা কাটি ফেলাচে। এটা দেখি হামি অজ্ঞান হয়া গেছি।’

প্রসূতির ভাতিজা নূর মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, ‘বাচ্চার সারা গাও কাটি ফেলাচে ডাক্তারে। এটা ডাক্তারের অদক্ষতার জন্যে হচে। চাচিরও জরায়ু কেটে ফেলছে তারা। এটার তদন্ত দরকার।’

গাইবান্ধার সাঘাটায় বোনারপাড়া ডিজিটাল হসপিটালে অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকের অদক্ষতায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ছবি: নিউজবাংলা

এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা মেলে অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসক খোরশেদুর রহমান পাপ্পুর।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় তিনি অপরেশন থিয়েটারে ছিলেন। আর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন ডা. রাকিবুল হাসান রাকিব। তবে এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।

হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা নার্স দিপা আকতারের দাবি, হাসপাতালে আনার আগেই প্রসূতিকে কোনো এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়েছিল। তার শরীরে আগেই ১২টি ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। সে থেকে প্রতিক্রিয়ার কারনেই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতেই হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।

তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর