চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বুধবার সকাল থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। তারা জানিয়েছেন, হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন এই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন ইসলাম শিমুল।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের নেতৃত্বে চমেকের অভিজিৎ, সৌমিক, আতাউল ও বেশ কিছু বহিরাগত ব্যক্তি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ডা. ওয়াসিম সাজ্জাদ রানা, ডা. হাবিবুর রহমান ও ডা. ওসমান গনি আহত হন। তাই দোষীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন।
‘চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির একটি মিটিং ডেকেছেন। পরে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এর আগে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন অভিজিৎ, জয়, আতাউল বোখারী, দীপ্ত, আরাফ, তৌফিক, ডা. ওয়াসিম সাজ্জাদ রানা, ডা. হাবিবুর রহমান, ডা. ওসমান গনি ও মোহম্মদ শাকিল। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার ইফতারের পর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েক দফায় চলে এই সংঘর্ষ।’
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল হক ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইফতারের সময় সিএমসি ক্যাফের সামনে হঠাৎ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ দুই গ্রুপকে সরিয়ে দেয়। রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে ঠিক কী নিয়ে সংঘর্ষের শুরু তা এখনও জানা যায়নি।’