চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় রাত ১১ টা পর্যন্ত ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় সিএমসি ক্যাফের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে রাত ১১টা পর্যন্ত । এ সময় কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
আহতরা হলেন অভিজিৎ, জয়, আতাউল বোখারী, দীপ্ত, আরাফ, তৌফিক, ডা. ওয়াসিম সাজ্জাদ রানা, ডা. হাবিবুর রহমান, ডা,ওসমান গনি ও মোহম্মদ শাকিল। আহতদের চমেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার ইফতারের পর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েক দফায় চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল হক ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইফতারের সময় সিএমসি ক্যাফের সামনে হঠাৎ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ দুই গ্রুপকে সরিয়ে দেয়। রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ঠিক কী নিয়ে সংঘর্ষের শুরু তা এখনও জানা যায়নি।’
চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি আলামিন হোসেন শিমুল বলেন, ‘ইফতারের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের কথিত অনুসারী অভিজিৎ, জয়, বোখারীসহ কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওফেলের এক অনুসারী বলেন, ‘বিনা উসকানিতে ইফতারের সময় আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে সাবেক মেয়র আ জ ম নাসিরের অনুসারীরা। এতে আমাদের ছয়জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’