রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা সেই তরুণীকে কুমিল্লায় তার মা-বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তরুণীর মরদেহবাহী গাড়ি তাদের বাড়ির সামনে পৌঁছায়। তাকে শেষবারের মতো দেখতে আগে থেকেই বাড়িতে ভিড় করে ছিলেন স্বজনরা।
মিনিট বিশেক পরে মরদেহবাহী গাড়িটি নগরীর টমসম ব্রিজ এলাকায় যায়। সেখানে বাদ আসর জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
এ সময় তরুণীর বড় বোন কান্নামাখা কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বোনকে মানসিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। তার ব্যবহার করা ডায়েরি, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও মোবাইল কললিস্ট দেখলে পরিস্কার হয়ে যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
‘আমি চাই ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। আমি মামলা করেছি। আমি দোষীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।‘
এই তরুণীরা তিন ভাইবোন। বড় ভাই একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরের বোনটি ব্যাংকার। কুমিল্লায় থাকেন।
ওই তরুণী পাঁচ বছর আগে ঢাকায় চলে যান। ভালো ছবি আঁকতেন। টুকটাক অভিনয় ও মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বড় ভাই জানান, তিন ভাইবোনের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। ভাইয়ের সঙ্গে বোনদের যোগাযোগ ছিল না। সোমবার ইফতারের সময় মেজো ভগ্নিপতি ফোন করে তাকে ওই তরুণীর মৃত্যু সংবাদ দেন।
ওই তরুণীর বড় ভাই নিউজবাংলাকে বলেন, তার বোন কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। সে খুব আত্মপ্রত্যয়ী একটা মেয়ে।
তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আমার বোনকে হত্যা করেছে। তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। আমার বোনের ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, মোবাইল কললিস্ট ও সিসি টিভির ফুটেজ দেখলে স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমি ওই ঘাতকের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশানের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে গত সোমবার ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মেয়েটির বড় বোন আত্মহত্যায় প্ররোচনার একটি মামলা করেন।